ಞ হঠাৎ করেই বাতিল করা হল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি দল দুর্বার রাজশাহীর বুধবারের অনুশীলন। সকলেই প্রশ্ন করতে থাকেন কেন দলের অনুশীলন সেশন বাতিল করা হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর শুনে সকলেই অবাক হয়েগিয়েছেন। জানা গিয়েছে খেলোয়াড়রা বকেয়া বেতন পাননি, সেই কারণেই নাকি অনুশীলন সেশন বাতিল করা হয়েছে।
🌌চলতি বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ঠিক করা হয়েছিল যে টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটারদের অর্ধেক বেতন দেওয়া হবে, এবং বাকি অর্ধেকের অর্ধেক টাকা দেওয়া হবে টুর্নামেন্টের মাঝে। এটাই বিপিএলের নিয়ম। কিন্তু অভিযোগ উঠছে ছয় ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরেও দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা এখনও কোনও পারিশ্রমিক পাননি। ঢাকার পর সিলেট পর্বও শেষ হয়েগিয়েছে, এবার পারিশ্রমিক না পেয়ে শেষ পর্যন্ত অনুশীলন বয়কট করেছে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। এর আগে, জার্সি ও কিট ব্যাগ দিতে না পারায় টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল দুর্বার রাজশাহী।
𝓡জানা গেছে, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা ছিল ১৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)। সেখানে মঙ্গলবার রাতে টিম থেকে জানানো হয়, টাকা দেওয়া হবে দিনদুয়েক পরে। তাতেই দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা বেকে বসেন। ক্রিকেটারদের তাই সাফ কথা, টাকা না পেলে তারা অনুশীলন করবেন না।
🥂শুধু তাই না, টাকা না পাওয়ায় সিলেট পর্বে একটা ম্যাচে মাঠেও নামতে চায়নি দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। পরে অনুরোধ করায় বরফ গলে, আশ্বাস পেয়ে তারা ম্যাচ খেলেন। এমনকি জানা গিয়েছে সিলেটে একটা চেকও দেওয়া হয়েছিল, তবে সেই চেকও নাকি বাউন্স হয়ে যায়। এরপরে ক্রিকেটাররা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
🦩বিষয়টি নিয়ে দুর্বার রাজশাহীর ম্যানেজার মেহরাব হোসেন অপি দাবি করেন যে, খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। পারিশ্রমিক না পেয়ে খেলোয়াড়রা অনুশীলন করছেন না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এই তথ্য কোথা থেকে পেয়েছেন এই প্রতিবেদক। পরে তিনি বলেন, যে এই কথা বলে তার নাম বললে তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন। প্রসঙ্গত, টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ রাজশাহী। মানহীন ক্রিকেটারের ছড়াছড়ি, এখন সেখানে যোগ হল প্লেয়ার্স পেমেন্ট ইস্যু।
আরও পড়ুন… 🎀PAK vs WI 1st Test: ১৯ বছর পরে মুলতানের স্পিন পিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে স্বাগত জানাবে পাকিস্তান
🌃দুর্বার রাজশাহীর টিম ম্যানেজমেন্টের এক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘কিছু অর্থপ্রদান করা হয়েছিল এবং স্থানীয় খেলোয়াড়দের পেমেন্ট পাওয়ার সময়টি দুই দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। চেক বাউন্স হয়নি, বা একটি বা দুটি হতে পারে। মালিক দেশের বাইরে ছিলেন এবং তিনি তখন ব্যাংককে ছিলেন। সময়, তাই একটি সমস্যা ছিল কারণ তিনি কলটি নিতে পারেননি।’