🌜 দীর্ঘ ২০ বছরের বিবাহিত জীবন তাঁদের, দিব্যি সুখেই দম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন ফারহা খান ও শিরীষ কুন্দের। পরিচালক, কোরিওগ্রাফার ফারহা খানের স্বামী পেশায় এডিটর। তবে ক্যামেরার সামনে আসতে খুব বেশি স্বচ্ছন্দ্য নন শিরীষ। ফারহা পরিচালিত ছবি 'ম্যায় হুঁ না' এডিটর ছিলেন শিরীষ। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফারহা খান জানিয়েছেন, মোটেও ‘প্রথম দর্শনে প্রেম হয়নি। আমি ওঁকে শুরুতে ঘৃণাই করতাম।’
ঠিক কী বলেছেন ফারহা খান?
💦সম্প্রতি ফারাহ অর্চনা পুরন সিং-এর ইউটিউব চ্যানেলে অতিথি হয়ে হাজির হয়েছিলেন ফারহা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘আমি ওকে শুরুতে ঘৃণাই করতাম। প্রায় ৬ মাস ধরে, আমি ভেবেছিলাম ও বোধহয় গে (সমকামী)।’ অর্চনা মজা করে ফারাহকে জিগ্গেস করেন তিনি কি শিরীষকে এখনও ঘৃণা করেন? উত্তরে ফারহা বলেন, ‘না। এখন আমি ওর সঙ্গেই অভ্যস্ত। ২০ বছর হয়ে গেল।’ নিজেদের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে ফারহা আরও বলেন, শিরীষের এখন রাগ করলে চুপ থাকে। আর ওর এই নীরাবতাই তাঁর কাছে একপ্রকার ‘নির্যাতন’ হয়ে দাঁড়ায়। ফারহা বলেন, ‘ও আগে, খুব রাগ করত, আর যখন ও রেগে যেত, তখন খুবই বিরক্তিকর লাগত। কারণ ও এমন একজন ব্যক্তি যে চুপচাপ থাকে, আর এখন ও কথা না বলে আরও বেশি নির্যাতন করে'।
🌄এরপরই অর্চনা ফারহার কাছে জিগ্গেস করেন, তাঁর ও শিরীষের ঝগড়া হলে কে আগে ক্ষমা চায়? উত্তরে ফারাহ বলেন, ‘কেউ Sorry বলে না। শিরীষ ২০ বছরে কখনও আমার কাছে ক্ষমা চায়নি।’ এরপর কিছু ব্যঙ্গা করে ফারহা খান বলেন, ‘কারণ ও কখনওই ভুলই করে না।’ অর্চনা আরও বলেন, ফারাহ বলেন, ‘ও এখন শুধুই আমার জীবনের পিছনে ছোচে। ও যদি কথা বলে, আমি আমার ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকি, তখন ও চলে যায়।’
ꦦএর আগে ‘মুভিং ইন উইথ মালাইকা’ অনুষ্ঠানে ফারহা বলেছিলেন, তাঁর ও শিরীষ কুন্দের-এর কাছের এক বন্ধুর তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে ভীষণ খারাপ ধারণা ছিল। বন্ধুটি ভেবেছিলেন, তাঁদের হয়ত ডিভোর্স হয়ে যাবে। ফারহার কথায়, ‘আমার বিয়ের দিন ওই বন্ধুকে কেউ একজন জিগ্গেস করেছিলেন, তুমি কি ফারহার বিয়েতে যাচ্ছো? উত্তরে ও বলেছিল, নাহ, আমি ওর দ্বিতীয় বিয়েতে যাব।’
ꦓপ্রসঙ্গত ফারহা ও শিরীষের ২০ বছরের দাম্পত্যে তাঁদের ৩ সন্তান রয়েছে ডিভা, জার ও আনিয়া। ২০০৮ সালে মা হয়েছিলেন ফারহা।