♎ লাইন ধরে ঝুলছে ট্রেন। উল্টো হয়েই ছুটে চলেছে গন্তব্যে। অবাক হয়ে দেখছে ২০২৫ সালের মানুষ। সেই মুহূর্তটাই ভিডিয়োতে ক্যাপচার করে ফেলেছেন ইনফ্লুয়েন্সার। দেখলেই চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার জোগাড়। পৃথিবীর অত্যন্ত বেশি মাধ্যাকর্ষণকে রীতিমত উপেক্ষা করে ট্রেনটাকে যে এইভাবে উল্টেও চালানো যায়, তা জাপানকে না দেখলে হয়ত কল্পনা করাও কঠিন হয়ে পড়ত।
আরও পড়ুন: (💯Vastu Tips for books: কেন বই খোলা রাখা উচিত নয়? দেবী সরস্বতী কি সত্যিই রেগে যান)
ভাইরাল ভিডিয়োতে কী দেখা গিয়েছে
🌳বলা বাহুল্য, জাপান তার আধুনিক এবং উদ্ভাবনী নানান আবিষ্কারের জন্য বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। এই মনোরেলটি অন্যান্য ট্রেনের থেকে আলাদা। এটি ব্রিজের নিচে নির্মিত ট্র্যাকের উপর চলে, তাই এটি বাতাসে উল্টো করে ঝুলে থাকে। জাপানের টোকিওতে চলতে থাকা মনোরেলের এই ভাইরাল ভিডিয়ো ইন্টারনেটে শোরগোল সৃষ্টি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ঐশ্বরিয়া কারকেরা উপর দিয়ে মনোরেলটি চলতে দেখে নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। ভিডিয়োতে ঐশ্বরিয়া কারকেরা লিখেছেন, 'এই উল্টো ট্রেনটি না দেখা পর্যন্ত আমি বিশ্বাসই করিনি যে জাপান ইতিমধ্যেই ভবিষ্যতে পৌঁছে গিয়েছে।'
আসল ব্যাপারটাও উল্টো
ℱট্রেনটি দেখতে উল্টো বলে মনে হলেও, আসলে কিন্তু তা একেবারেই নয়। ট্রেনটি বাইরে থেকে উল্টো করে তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু ভেতরে, এটি একটি সাধারণ মনোরেলের মতো, যেখানে চালক এবং যাত্রীরা যথারীতি সোজা হয়েই বসে রয়েছেন। ভিডিয়োতেও এই বিষয়টি স্পষ্ট। ।
ভাইরাল ভিডিয়োটি দেখুন এখানে
💛ভিডিয়ো শেয়ার করে কারকেরা জানিয়েছেন যে এটি বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত মনোরেল। আর তাঁর ফলোয়ারদের কাছে তিনি এও জিজ্ঞাসা করেছেন যে তাঁরা কি এই মনোরেলে চড়তে চান!
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
♔বলা বাহুল্য, অনেকেই ভিডিয়োটি দেখে রীতিমত অবাক হয়েছেন, কারকেরার মতো। তাঁদের দাবি যে উল্টে যাওয়া ট্রেনটি দেখতে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে। যদি কখনও পড়ে যায়। একজন ব্যক্তি আবার বলেছেন, এই ক্লিপটি আমাকে নার্ভাস করে দিয়েছে। অন্যজন আবার রসিকতা করে বলেছেন, জাপান এখন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গেও লড়াই করছে।
🔯প্রসঙ্গত, এই মনোরেল দেখতে নতুন হলেও বাস্তবে তা কিন্তু একেবারেই নয়। চিবা আরবান মনোরেল ১৯৮৮ সালের ২৮শে মার্চ থেকে চলাচল করে আসছে। যানজট এবং শব্দ সমস্যা সমাধানের জন্য এটি ১৯৭৭ সালে জাপানেই নির্মিত হয়েছিল। মনোরেলটি চিবা মিনাতোকে কেনচো-মেয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করে। জাদুঘর, একটি ক্রীড়া স্টেডিয়াম এবং একটি চিড়িয়াখানার পাশ দিয়ে এগিয়ে যায় এই মনোরেল। বলতে গেলে, শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে যেতে হলে সবচেয়ে সস্তা এবং সহজ উপায় হল জাপানের এই মনোরেল।