🎃 গাজা যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিমুক্তি চুক্তির প্রথম কার্যকর ধাপ হিসাবে ৭৩৭ জন জেলবন্দিকে মুক্তি দেবে ইজরায়েল। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেদেশের বিচার মন্ত্রক। ইজরায়েল সরকারের ওয়েবসাইটে এই মর্মে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে।
🧸সেই বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, 'সরকারের তরফে ৭৩৭ জন জেলবন্দি ও আটক থাকা ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে।' ওই একই বিবৃতি থেকে আরও জানা গিয়েছে, যাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে, তাঁরা বর্তমানে ইজরায়েলের কারাগার পরিষেবার অধীনে বন্দি রয়েছেন।
🍸উল্লেখ্য, শনিবার ভোরেই ইজরায়েল মন্ত্রিসভার ভোটাভুটি হয়। এবং সেখানে যুদ্ধবিরতির পক্ষেই রায় দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে একটি বিষয় নিয়ে দোলাচল চলছিল। আদৌ চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব কিনা, সেই বিষয়টি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু, অবশেষে সেই দ্বন্দ্ব কেটেছে।
🤡যে ৭৩৭ জন প্রথম দফায় মুক্তি দেওয়া হবে, তাঁদের মধ্যে নারী, পুরুষ যেমন রয়েছেন, তেমনই নাবালক-নাবালিকারাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টের আগে তাঁরা কেউ মুক্তি পাবেন না।
𒁃প্রসঙ্গত, এর আগে ৯৫ জনের নামাঙ্কিত বন্দিমুক্তির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই তালিকায় অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই ৯৫ জনকে গাজায় তারা বন্দি করে রেখেছিল এত দিন। এবার তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে।
🍰বন্দিমুক্তির সম্প্রসারিত তালিকায় থাকা একটি নাম অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। তিনি জাকারিয়া জুবেইদি। তিনি প্যালেস্তেনীয় প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আব্বাসের ফতেহ পার্টির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান।
🐽এর আগে, ২০২১ সালে পাঁচজন প্যালেস্তেনীয় বন্দিকে সঙ্গে নিয়ে ইজরায়েলের গিলবোয়া জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন জুবেইদি। তাঁকে ফের পাকড়াও করতে দিনরাত এক করে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইজরায়েল। প্যালেস্তাইনের মানুষের কাছে তিনি সত্যিকারের 'হিরো'।
🍨এছাড়াও, ইজারেয়েলের তরফে আরও এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বকে মুক্তি দেওয়া হবে। তিনি বামপন্থী প্যালেস্তেনীয় আইনজীবী খলিদা জারার। তাঁকে একাধিকবার গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে ইজরায়েল প্রশাসন।
♊প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতার জন্য যে দল একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করে চলেছে, সেই পপুলার ফ্রন্ট-এর অন্যতম মুখ হলেন খলিদা। যদিও তাঁর দলের গায়ে 'সন্ত্রাসবাদী সংগঠন'-এর তকমা সেঁটে দিয়েছে ইজরায়েল, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ꦐশেষবার খলিদাকে গ্রেফতার করা হয় গত ডিসেম্বর মাসে - ওয়েস্ট ব্য়াঙ্ক থেকে। যা আদতে প্যালেস্তাইনের অংশ হলেও ১৯৬৭ সাল থেকে ইজরায়েল সেই স্থান দখল করে রেখেছে। খলিদাকে কোনও রকম অভিযোগ ছাড়াই বন্দি করে রাখা হয়েছে।