আরজি কর মামলায় রায়দানের আগে মুখ্যꦯমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা। শনিবার বেলায় বাড়ি থেকে শিয়ালদা আদালতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘এদের (স্বাস্থ্যসচিব-সহ পুলিশ ও প্রশাসন) সমস্ত কর্তব্যের গাফিলতি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পর্যন্ত বলেছেন যে রাত দুটো পর্যন্ত জেগে এই বিষয়টাকে মন🌠িটর করেছেন। ওঁর কী এত ইন্টারেস্ট ছিল, সেটাই আমরা জানতে চাই।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই (প্রমাণ) লোকানো হয়েছে। লোকানো না হলে যারা যা অপরাধ করেছে, তারা সকলে এতদিনে সামনে চলে আসত।’
পুলিশ তো প্রমাণ লোপাটের কথা স্বীকার করবে না, নিশানা বাবার
তিনি দাবি করেন, ‘তথ্যপ্রমাণ যে লোপাট হয়েছে, সেটা সিবিআই স্বীকার করেছে। কলকাতা পুলিশ...(তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে) তো আর স্বীকার করবে না। বাকি দোষীদের খুঁজে (বের করার দায়িত্ব) সিবিআইয়ের। আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছি, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছি।’ সে♑ইসঙ্গে তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন, সব দোষীরা সামনে আসবে। তাদে🙈র শাস্তি দেওয়া হবে। আর আজ অনেক আশা নিয়ে শিয়ালদা আদালতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা।
আরও পড়ুন: RG Kar Case Judge: আগেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, আরজি কর মামলার রায় দ🎶েবেন সেই বিচারক দাস, রইল তাঁর পরিচয়
অটোয় করে ট্রেন, তারপর শিয়ালদায় আসবেন বাবা-মা
আর কিছুক্ষণ পরেই শিয়ালদা অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার রায়দান হবে। সেজন্য বেলা ১২ টা ৩৫ মিনিট নꦺাগাদ বাড়ি থেকে রওনা দেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। অটোয় করে তাঁরা স্টেশনে যাবেন। সেখান থেকে শিয়ালদার ট্রেন ধরবেন। দুপুর দুটো ৩০ মিনিটে রায়দানের কথা আছে।
বিনীত গোয়েলকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? প্রশ্ন পরিবারের
সেই রায়দানের আগে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ তিনজ♋ন পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। শনিবার সকালের বাড়ির সামনে চিকিৎসকের মা বলেন, 'টালা থানার (প্রাক্তন) ওসি অভিজিৎ মণ্ডল যেটুকু দোষী, তার থেকে বেশি দোষী বিনীত গোয়েল।'
সেইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কর্তব্যের গাফিলতিতে কেন ওই পুলিশ আধিকারিকদের গ্রেফতার করা হবে না? কারণ গত ৯ অগস্ট যখন তাঁরা আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন, তখন ঘটনাস্থলে প্রচুর লোকজন ছিলেন।𒁃 নিয়ম অনুযায়ী 𝓡ওই জায়গাটা পুরো ঘিরে রাখা উচিত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। যা পুরোপুরি কর্তব্যের গাফিলতি বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা।