আরও একবার নিখোঁজ ওয়েব সিরিজের জন্য বৃন্দা বসু হয়ে ধরা দিয়েছ🍸েন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অতি সম্প্রতি শুরু হয়েছে এই সিরিজের স্ট্রিমিং। নিখোঁজ-২র প্রচারেই সম্প্রতি একাধিক সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হচ্ছেন স্বস্তিকা। সেখানেই ওঠে আসছে নানান প্রশ্ন। সবসময়ের মতো নির্দ্বিধায় খোলামেলা জবাব দিচ্ছেন অভিনেত্রী।
নিখোঁজ-২ নিয়েই আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বলার সময়ই উঠে এসেছে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের প্রসঙ্গ। এবিষয়ে স🍌্বস্তিকা বলেন, ২০২৫ সালে এসেও কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হয়। কোনও পুরুষের পদোন্নতি হলে বলা হয় নিজের যোগ্যতায়, পরিশ্রমের জোরে পদোন্নতি হয়েছে। তবে একজন মহিলার ক্ষেত্রে বলা হয় শরীরের বিনিময়ে, সৌন্দর্যের বিনিময়ে পদোন্নতি হয়েছে। স্বস্তিকার কথায়, মহিলাদের দক্ষতা, কাজের প্রতি অনুরাগকেও উপেক্ষা করা হয় সর্বতোভাবে।
সাক্ষাৎকারে ✃উঠে আসে মেট্রো স্টেশনে চুমুর ঘটনাও। স্বস্তিকার কথায়, ‘আরজি করের ঘটনার পর মনে হয়েছিল কত কিছুই বদলাবে! এদিকে সম্প্রতি মেট্রো স্টেশনে চুমু নিয়ে কত কাণ্ড! দোষী কিন্তু একজনই যিনি চুমু খাওয়ার ভিডিয়ো ছড꧅়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে,তাঁর অন্যায় নিয়ে কিন্তু কোনও কথা হল না, হইচই হল চুমু নিয়ে। মেয়েটি যেন চুমু খেয়েই যত অপরাধ করল!’
কথায় কথায় উঠে আসে আরজিকরের আন্দোলনের প্রসঙ্গও। এই আন্দোলন থেকে তিনি ও সুদীপ্তা চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা সরে গেলেন বলে যে কথা উঠছে সেবিষয়ে স্বস্তিকার বক্তব্য, 'একটা আন্দোলন হয়েছিল, সেটার তো একটা সমাপতন হবেই। চিকিৎসকেরাও কি এখন চিকিৎসা না করে ধর্মতলায় বসে রয়েছেন? আন্দোলন যদি ১ বছর ধরে চলত, তা হলে আমরাও সেই মতো সময় বার করে যোগ🌊 দিতাম। তবে সেটা তো হয়নি।'
আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক মহল থেকে কোনও চাপ এসেছিল কিনা সেবিষয়টি এক্কেবারেই অস্বীকার করেন স্বস্তিকা। তিনি🉐 বলেন, তাঁর কাছে এমন কোনও বার্তা আসেন। তবে আন্দোলনটাই ঝিমিয়ে গেল বলে মন্তব্য করেন স্বস্তিকা। তাঁর কথায়, আন্দোলনটা ছিল সাধারণ মানুষের। তাঁরাই যখন আর পথে নেই, তাহলে অভিনেত্রীরা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থেকে কীই বা করবেন!
সাক্ষাৎকারে উইন্ডোজ ও দ💟েবের ফ্যানক্লাবের বিবাদ নিয়েও কথা বলেন স্বস্তিকা। এমনকি জিনিয়া সেনের ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছ𓆉ড়িয়ে দেওয়া নিয়েও মুখ খোলেন। স্বস্তিকার কথায়, তাঁকে আর কোনও কিছুই আর অবাক করে না। সবদিক থেকে আমরা অনেক নীচে নেমে যাচ্ছি। আরজি কর আন্দোলনে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে নিয়েও যে ধরনের কার্টুন বানানো হয়েছিল, তার থেকে কদর্য কিছু করা যায় বলে তো মনে হয় না স্বস্তিকার।
তবে অভিনেত্রীর ফ্যানক্লাব এমন কিছ✅ু করলে কী পদক্ষেপ করতেন? এবিষয়ে আনন্দবাজারকে স্বস্তিকা জানান, তাঁর ফ্যানক্লাব থেকে এমন কাজকর্ম হত না। কারণ, আমার অনুরাগীরা ওরকম নয়। তাঁর কথায়, 'যাঁদের ফ্যানক্লাব এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, সে🌞ই শিল্পীদের নিজেদের অনুরাগীদের সঙ্গে কথা বলা উচিত।'
একসঙ্গে ছবি মুক্তি পেলেই সিনেমা ন♋িয়ে 🍬চর্চার থেকে আক্রমণই বেশি হচ্ছে, এবিষয়ে স্বস্তিকার সাফ কথা, 'আমি এটা অনেক আগেই বলেছি। পরস্পরের পাশে কেউই নেই। সবাই নিজের নিজেরটা বোঝে। নিজেরটা ঠিক হলেই ব্যস! বাকি যা ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে হোক।' অভিনেত্রী মনে করেন স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকা ভাল। কিন্তু এই প্রতিযোগিতা ক্রমশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে।