বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না মোনালি ঠাকুরের। সম্প্রতি বেনারসে মাঝপথে কনসার্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান গায়িকা। আয়োজকদের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অনৈতিক’ বলে তোপ দেগে কনসার্ট ছেড়ে ছিলেন মোনালি। তবে তাঁর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনে আয়োজক সংস্থা। সেই বিতর্কের মাঝেই নিজের শহরে পারফর্ম করলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী গায়িকা। ﷽আরও পড়ুন-বারাণসী কনসার্টে তাঁর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, অবশেষে মুখ খুললেন মোনালি ঠাকুর
♑সম্প্রতি দমদম উৎসবের মঞ্চ মাতালেন ‘মোহ মোহ-কে ধাগে’ খ্যাত শিল্পী। বারাণসী কনসার্টের পর প্রথম বার স্টেজে উঠলেন মোনালি, তবে বিতর্কের আঁচ গায়ে না মেখে, সুরের সাগরেই ডুব দিলেন। কালো শরীর চাপা ফুলস্লিভস টপ আর হলুদ রঙা ঢলা প্যান্টে দেখা মিলল গায়িকার। মাথায় কালো রঙা হেডব্যান্ড। নাচে গানে মঞ্চে শিহরণ জাগালেন মোনালি। নিজের গাওয়া একধিক জনপ্রিয় গানে পারফর্ম করতে দেখা গেল গায়িকাকে। সঙ্গে থাকল পাকিস্তানের জনপ্রিয় গান পাসুরি কিংবা কঙ্কনা তেরা নি-র মতো জনপ্রিয় পঞ্জাবি গান।
🌜চান্দদি কুরি গাইতে গাইতে কখনও কোমর দোলালেন মোনালি, কখনও গিটারের ঝংকার উঠতেই মোনালির শরীরী হিলোল দেখে কুপোকাত দর্শক। মোনালির এনার্জেটিক পারফর্ম্যান্সে মুগ্ধ অনেকেই। তবে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি কেউ কেউ। অনেকে মতে, নাচের পাশাপাশি একটু গানের দিকেও নজর দেওয়া উচিত তাঁর। আবার কেউ বললেন, ‘আজকাল সবাই বিয়ন্সে, শাকিরা হওয়ার চেষ্টা করছে’।
🍒ওদিকে বেনরাসের কনসার্ট বিতর্ক নিয়েও ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন মোনালি। ইনস্টাগ্রামে বিবৃতি দিয়ে তিনি জানান, 'আমার ও আমার টিমের সঙ্গে যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে, সেই নেতিবাচক ঘটনার কথা বলে ২০২৪-এর শেষ বা নতুন বছর ২০২৫এর শুরু করতে চাইনি। যাইহোক, অনেক চিন্তাভাবনার পরে, আমার মনে হয়েছে এই দুর্ভাগ্যজনক সত্যিঘটনাগুলি সকলকে বলা গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো বলছি শুধু সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নয়, আমি এটা বলছি, কারণ কীভাবে এই ঘটনাগুলি পরিচালনা করা হয় সেটা তুলে ধরার জন্য। আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আয়োজকদের চিঠিটিও এই পোস্টে জুড়ে দিলাম। আশা করি, আমার ও টিমের বিরুদ্ধে আনা আয়োজকদের মিথ্যে বিশ্বাসঘাতকতা, অনৈতিক আচরণের অভিযোগ নিয়ে সকলের বিভ্রান্তি দূর করতে এই চিঠিই যথেষ্ঠ।’
ꦚমোনালি আরও লিখেছেন, ‘ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে আমি খুব বিরক্ত। বিশেষত, যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা করতে প্রণীত আইনগুলির অপব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। অথচ এই আইনগুলি আমাদের সমাজে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। শুধুমাত্র নিজেদের ইগো ধরে রাখতে জাতীয় আইনকে অস্ত্র করা কেবল অধিকারের চরম অপব্যবহারই নয়, এটা জঘন্য অপরাধ।’