🌞 অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় ধৃত বাংলাদেশি নাগরিককে কীভাবে চিহ্নিত করল মুম্বই পুলিশ? কীভাবে লক্ষ, কোটি মানুষের ভিড়ে তাকে শনাক্ত করা হল? এই প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু, আসল ঘটনা হল - সইফ-করিনার বান্দ্রার বাড়িতে চুরি করতে ঢোকা দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে প্রাণপাত করে তদন্তের কাজ চালিয়ে গিয়েছে মুম্বই পুলিশ। চিরাচরিত প্রথায় তদন্ত চালানোর পাশাপাশি কাজে লাগানো হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। আর তাতেই মিলেছে সাফল্য।
⛦বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, অভিযুক্ত হামলাকারীকে খুঁজে বের করতে 'ফেস রেকগনাইজেশন সিস্টেম' ব্যবহার করেছে মুম্বই পুলিশ। আর তার ফলেই বছর তিরিশের ওই বাংলাদেশি নাগরিকের গতিবিধি সম্পর্কে অবহিত হতে পেরেছে তারা। তার অবস্থান চিহ্নিত করে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
👍মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সইফ আলি খানের উপর হামলার পরই শহরের নির্দিষ্ট কিছু এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেগুলি যাতে সঠিক এবং নিখুঁতভাবে স্ক্য়ান করা সম্ভব হয়, তার জন্য মুম্বই পুলিশের একটি দলকে কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়।
🐎এই পদ্ধতিতে যখন নজরদারি চলছে, তখনই ৯ জানুয়ারির একটি ফুটেজ পুলিশকর্মীদের নজর কাড়ে। সেই ফুটেজটি ছিল বান্দ্রা রেল স্টেশনে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার। সেই ফুটেজেই প্রথম অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে চিহ্নিত করেন পুলিশকর্মীরা।
🎶পুলিশের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়া টুডে টিভি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই ফুটেজই ছিল মুম্বই পুলিশের কাছে এক বিরাট সূত্র। যা তদন্ত প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।
♛ওই ফুটেজ থেকে সেই বাইকের নম্বর নোট করে পুলিশ, যেটিতে অভিযুক্ত যুবক সওয়ার ছিল। এবার সেই বাইকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ধরে তল্লাশি শুরু করা হয়। এরইসঙ্গে, ফেস রেকগনাইজেশন প্রযুক্তির সাহায্য়ে আলাদাভাবে শেহজাদের তল্লাশি ও বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া চলতে থাকে।
෴সেই তদন্ত চলাকালীনই পুলিশ জানতে পারেন, অভিযুক্তকে আবারও দেখা গিয়েছে। তবে, এবার তার দেখা মিলেছে অন্য জায়গায়। এবং সেটা ঘটেছে একাধিকবার। পুলিশের কাছে খবর আসে, দাদর রেল স্টেশনের বাইরে শেহজাদকে তিনবার ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। নজরদারি দল আরও জানতে পারে, দাদর থেকে ওরলি কোলিওয়াড়ার দিকে যেতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তকে।
ﷺপুলিশের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই অভিযুক্ত বাংলাদেশি যুবক স্থানীয় এক শ্রমিক বস্তি এলাকায় যাতায়াত শুরু করেছিল। সেই খবরও পুলিশের কাছে পৌঁছয়। সেখানে একজন ঠিকাদার রয়েছেন বলে জানা যায়। যিনি শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করেন।
𒐪পুলিশ এরপর ওই ঠিকাদারকে চিহ্নিত করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে, এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঠিকাদারকে পুলিশের পক্ষ থেকে শেহজাদ সম্পর্কে যত বেশি সম্ভব তথ্য সরবরাহ করা হয়। ঠিকাদার এতেই শেহজাদকে চিনতে পারেন। পুলিশকে তার সম্পর্কে সবথেকে জরুরি তথ্যটি দেন তিনি। তা হল, কোথায় গেলে শেহজাদ পাওয়া যেতে পারে।
𒁃জানা যায়, থানেতে জঙ্গল ঘেরা একটি এলাকায় একটি শ্রমিক বস্তি রয়েছে। সেখানেই গা-ঢাকা দিয়েছে ওই বাংলাদেশি। রবিবার সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।