নতুন বছরে টিআরপি তালিকায় বড় চমক। ২০২৫ নতুন বেঙ্গল টপার দিল দর্শকদের। এতদিন ফুলকি, কথা, গীতারা চমক দেখিয়েছে, তবে সক্কলকে পিছনে ফেলে চলতি সপ্তাহে সেরার সিংহাসন দখল করল উদয় প্রতাপ সিং আর নবাগতা ঈশানি চট্টোপাধ্যায়। ৭.৮ নম্বর নিয়ে এই সপ্তাহে সেরার মুকুট জিতে নিয়েছেন উদয়-ঈশানিরা। আরও পড়ুন-‘কাজল কাকিমা প্রেম করছে….’, অতীত ভুলে সুদীপ🍸ের ‘চিরসখা’ হবেন অপরাজিতা? সামনে এল প্রচার ঝলক
রায়ানের মুখে স্বভাবতই চওড়া হাসি। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেতা জানালেন,'আমি প্রচণ্ড সন্তুষ্ট। এতটা আশা করিনি, যে এত ভালো রেন্সপন্স পাব, আস্তে আস্তে বেঙ্গল টপার হয়ে যাব। পরিণীতা সবে শুরু হয়েছে, প্রথম সপ্তাহ থেকেই আমরা ভালো নম্বর এনেছি টিআরপি তালিকায়, স্লট দখলে রেখেছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রথমদিকে কেউ সিরিয়ালসি নেয়নি। নায়িকা নতুন, আমি এতদিন ধরে পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করেছি। তাই আমাদের থেকে কেꦍউ বিশেষ আশা রাখেনি, প্রথমে অনেক সমালোচনা হয়েছে, লোকে ভেবেছিল বেশিদিন টিকবে না। তবে আমি খুশি যে দর্শক আমাদেরকে, আমাদের কাহিনিকে গ্রহণ করেছে।'
পরিণীতার সাফল্যের সবচেয়ে বড় ক্রেডিট পরিচালক কৃষ🌠কেই দিলেন উদয়। তিনি জানান, ‘ এই কৃতিত্ব আমাদের লেখক এবং পরিচালকের। কৃষ যেভাবে আমাদের গাইড করছে, ওহ না থাকলে পরিণীতা পরিণীতা হত না। কৃষের বিরাট ভূমিকা রয়েছে এই সাফল্যে। টেলিভিশনে আমরা পরিচালকদের সেভাবে ক্রেডিট দিই না। কিন্তু পরিণীতার সাফল্য়ে সত্যি ওর বড় হাত রয়েছে। আমি যাদের সাথে কাজ করেছি বলব ও সেরা (পরিচালক)’।
নায়ক মনে করালেন, ‘আমরা ফেস অফ দ্য শো, হিরো-হিরোইন ক্লিক করা জরুরি, তবে গল্প ভালো না হলে🦩 যত বড়ই তারকাকে নাও কিছুই চলবে না। তাই পর্দার পিছনে যাঁরা কাজ করে তাঁরাও খুব জরুরি।’ সিরিয়ালের শুরুতে কম কটাক্ষ হয়নি। আজ কি সব সমালোচনার জবাব দিলেন উদয়? মুচকি হেসে বললেন, ‘শুরুতে পাতি কথায় কেউ আমাদের পাত্তা দেয়নি। বলেছিল এটা একটা ব়্যানডম সিরিয়াল, ৩-৪ মাসে বন্ধ হয়ে যাবে। ফ্লপনীতা বলা হত আমাদের সিরিয়ালকে। কিন্তু কিছুই বলতে চাই না। দর্শকদের জন্যই আমাদের এত মেহনত। সমালোচনা তো থাকবেই, সেটাও মাথা পেতে নিতে হবে। সবাই ভালো বলবে এটা তো হতে পারে না। তবে সেটা যেন গঠনমূলক সমালোচনা হয়, ব্যক্তিগত স্তরে গিয়ে সমালোচনাটা গ্রহণযোগ্য নয়। সমালোচকরা আমাদের কাজটা যারা হেট করেছিল, তার♎া আমাদের আরও ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। নিজের কাজটা মাথা নীচু করে করে যেতে হবে। যে যা বলছে বলুক।’