বিষাক্ত স্যালাইনে রোগীমৃত্যুর ঘটনায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশদের সাসপেনশন তোলার আবেদন জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনকে চিঠি দিলেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, রোগীমৃত্যুর জন্য শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কোনও গাফিলতি দায়ী নয়। তাদের ওপর সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার থেকে আংশিক কর্মবিরতি শুরু করেছেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের পিজিটি চিকিৎসকরা। তার পরই পিজিটিদের পাশে দাঁড়ান অধ্যক্ষ।চিঠিতে মৌসুমী নন্দী উল্লেখ করেছেন, যে ৭ জন জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তারা সবাই নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন। ওটির হাজিরা খাতাতেও তা স্পষ্ট। তার পরও তাদের ওপর সাসপেনশনের খাঁড়া নামিয়ে আনা অনুচিত। একই মত জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও। তারা জানিয়েছে, সম্পূর্ণ বিধি মেনে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন ৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক।মেদিনীপুর মেডিক্যালে বিষাক্ত স্যালাইনে রোগীমৃত্যুর ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তার মধ্যে ৬ জন সিনিয়র ও ৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন। বিষাক্ত স্যালাইন সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার বদলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক অন্য জায়গায় চিকিৎসা করছিলেন। তার জেরেই রোগী মৃত্যু ঘটেছে।